ঢাকাMonday , 19 May 2025
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও বিজ্ঞপ্তি।

admin
May 19, 2025 3:29 am । ৩৫৭ জন
Link Copied!

দৈনিক সময়ের কথা ডেস্ক নিউজঃ

গতকাল ১৮ মে(রবিবার) “জনতার ক্রাইম” নামক অনলাইন নিউজ পোর্টালে রাজধানীর খিলক্ষেত বাজারে বহুল আলোচিত-সমালোচিত চাঁদাবাজদের নিয়ে “খিলক্ষেতে চাঁদাবাজী করেই ওরা লাখপতি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।কথিত সমালোচিত চাঁদাবাজ বোমা হাশেম গং দের সাথে আমাকে ভুলবশত জড়িয়ে এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমি (শহীদ বেপারী)

আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।এইটা আমাকে সামাজিক এবং মানসিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার একটা চক্রান্ত।

মূলত আসল ঘটনা হলঃ

খিলক্ষেত বাজারস্হ বেপারি পাড়া বনসাই রেস্টুরেন্ট সহ তার সামনে এবং পাশের জমি গুলো যুগযুগ ধরে আমাদের পূর্ব পুরুষদের জমি ছিল।স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বিশেষ প্রয়োজনে বনসাই রেস্টুরেন্টেের সামনের জমি গুলো একুয়ার করে।কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জমি গুলো তাদের কার্যক্রমের বাহিরে খালি পড়ে থাকায় আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে আমার পিতা অত্র এলাকার (বেপারি পাড়ার)সনামধন্য সমাজ সেবক মরহুম আব্দুল মালেক বেপারি মৌখিক অনুমতি নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীগণ সহ জনসাধারণের জন্য সেই জমিতে একটা অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করেন।

পরবর্তীতে গত ২০১৬ সালে তৎকালীন সরকার উড়াল সেতু(এলিভেটেড এক্সপ্রেস)নির্মাণের জন্য আবারও নোটিশ করে জমি খালি করার নির্দেশনা দিলে তাৎক্ষণিক আমরা ঐ জমি খালি করে দিই।তাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের ৯ (নয়) লক্ষ টাকা প্রদান করে ছিলেন।একই সাথে আমরা বেপারি পাড়াস্হ হাজী আব্দুল মালেক বেপারি বাড়ী সংলগ্ন পাশে ৪ কাটা জমি মসজিদের নামে ওয়াকফ করে পুনরায় মসজিদ নির্মাণ করি।যা এলাকায় “বায়তুল মালেক” মসজিদ নামে পরিচিত।

ঐ সময়ে বনসাই রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে সরিয়ে আনা মসজিদের খালি জমি অল্প কিছু দিন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের বিশেষ কাজে ব্যবহার করলেও কিছু দিন পর জমি গুলো খালি পড়ে থাকে।তারপর আমরা এলাকার ব্যক্তিবর্গের মতামত নিয়ে এবং আমাদের নবনির্মিত বায়তুল মালেক মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে উক্ত খালি জায়গায় ৭ টা অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করে থাকি।যাহার দৈনিক আয়ের টাকা সরাসরি মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং খাদেমদের মাধ্যমে মসজিদের ফান্ডে চলে যায়।সরজমিনে তথ্য নিলে যার শতভাগ সত্যতা পাওয়া যাবে।প্রতি সপ্তাহে উক্ত দোকান গুলো থেকে আয়ের ৯-১০ হাজার পরিমাণ টাকা প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে খতিব সাহেব দ্বারা ঘোষণা দিয়ে মহল্লা বাসীদের জানিয়ে দেওয়া হয়।যাহা বেপারি পাড়া সহ তার আশেপাশে বসবাসরত সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের সচেতন ব্যক্তিবর্গ অবগত আছেন।

কিন্তু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিএনপি নামধারী কিছু কথিত চাঁদাবাজ তাদের ফুটফাটে চাঁদাবাজি এবং দখলবাজির চলমান ধারাবাহিকতায় আমাদের সেই অস্হায়ী নির্মাণ করা ৭ টা দোকান থেকে ১ টা দোকান দখলে করে নেই।খবর শুনে মহল্লার লোকজন তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।যাহা প্রশাসন সহ সকলেই অবগত। এবং যা নিয়ে এখনও আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।সেই সূত্র ধরে আমাদের প্রতি মিথ্যা মামলা সহ কথিত চাঁদাবাজদের নানান ষড়যন্ত্র বিদ্যমান রয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মানহানীর জন্য এই বিভ্রান্ত মূলক মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়।অথচ আমি একজন ট্রাভেলস এজেন্সি ব্যবসায়ী।আমার “খিলক্ষেত ট্যূর এন্ড ট্রাভেলস” হজ্জ উমরাহ এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাহার লাইসেন্স নং ৮৮৯।আমি এই মিথ্যা সংবাদের আবারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিভ্রান্ত না হয়ে সরজমিনে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

শহীদ বেপারি।
পিতা-মরহুম হাজী আব্দুল মালেক বেপারি।
বেপারি পাড়া, খিলক্ষেত,ঢাকা-১২২৯