ঢাকাWednesday , 15 October 2025
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চাঁদাবাজি,তদবির বাণিজ্য,মামলা বাণিজ্য সহ অভিযোগের পাহাড় টেকনাফের গুটিকয়েক ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে

admin
October 15, 2025 6:39 pm । ১২৭ জন
Link Copied!

কক্সবাজার ডেস্ক রিপোর্টঃ

দেশের বৃহত্তর পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ কে নিয়ে অতীতে দেশজুড়ে অনেক অভিযোগ উঠে আসলেও এইবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আবারও চাঁদাবাজি,টেন্ডার বাজি,নিয়োগ বাণিজ্য,মামলা বাণিজ্য সহ নিত্য নতুন নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়াবহ অভিযোগ করে প্রতিবাদ করেন টেকনাফের সন্তান ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রথম সারিতে নেতৃত্ব দেওয়া কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক Chowdhury Siyam Elahi. টেকনাফ তথা কক্সবাজারের গুটিকয়েক ছাত্র প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তাহার এই প্রতিবাদ কে ঘিরে সরগরম পুরো টেকনাফ।টেকনাফের অনেক সচেতন মহল কে তার এই প্রতিবাদ কে স্বাগতম জানাতে দেখা যায়।

টেকনাফের সন্তান ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক Chowdhury Siyam Elahi এর ফেসবুক পেইজে করা সেই প্রতিবাদ টি হুবহু তুলে ধরা হলঃ

টেকনাফে নিয়োগ বাণিজ্য,চাঁদাবাজি সংক্রান্ত আরো কিছু সত্য যা আপনাদের জানা জরুরী-

৫ই আগষ্টের পর পরই কিছু ছাত্ররা দেশের সংস্কারের জন্য এলাকাভিত্তিক কাজ করা শুরু করে তখন সেই সুযোগেই এদের মধ্যেই কিছু এই ছাত্র প্রতিনিধি ট্যাগটাকে ব্যবহার করে অপকর্ম করা শুরু করে।
গত পোস্টে যা লিখেছি তার পরে অনেকে জড়িতদের নাম জানতে চেয়েছেন, নাম আমি নয় শুধু টেকনাফের ছাত্র প্রতিনিধিরা আমার চেয়ে ভালো জানে তাছাড়াও আমি যে ভুক্তভোগীদের কথা উল্লেখ করেছি তাদের কাছ থেকে একটু অভয় দিলে জানতে পারবেন।আমি ব্যাক্তিগতভাবে চাই আপনারাই তাদের মুখোশ উন্মোচন করুন। গোয়েন্দা সংস্থা, সাংবাদিক এবং সচেতন নাগরিক চাইলে আমার পোস্টে দেওয়া ক্লো গুলো ব্যবহার করে খুব সহজে তাদের নাম বের করতে পারবেন।

আজকে আরো কিছু নতুন বিষয় সবার সামনে তুলে ধরছি। ৫ই আগষ্টের পর কক্সবাজারে ছাত্রদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়, সেই মামলা নিয়েও বাণিজ্যের অনেক অভিযোগ সেই সময়ে পেয়েছি। টেকনাফ থেকে কিছু ব্যাক্তিকে মামলায় নাম দিয়ে পরে রমজান মাসে মামলা থেকে নাম কাটানোর কথা বলে কক্সবাজারে কোনো এক হোটেলে বসে টাকা দাবি করার তথ্য ও পেয়েছি,এর সাথেও কক্সবাজারের কতিপয় ছাত্র প্রতিনিধিরা জড়িত। এদের এই মামলাগুলো থেকে মৃত ব্যাক্তিও রেহাই পায়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো ধরনের সাংগঠনিক পদ পদবি ছাড়া শুধুমাত্র ছাত্র প্রতিনিধি ট্যাগ ব্যবহার করে এরা যে দাপট দেখিয়েছে তা শুনে রীতিমতো অবাক হয়েছি টেন্ডার বাণিজ্য, দখলদারি, মামলা বাণিজ্য,নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানান অপকর্ম করেছে যা সবার মুখে মুখে। আমি বরাবরই এদের এসব অপকর্মের বিরোধিতা করেছি, নিন্দা জানিয়েছি কিন্তু এরা থামেনি।

এরকম কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত ছিল সবার বিরুদ্ধে যতদ্রুত সম্ভব তদন্ত হওয়া জরুরি, দেখা যাবে ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়া রিয়াদ এবং অপুর মতো এদের ব্যাপারে তদন্তের পর আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে, আরেকটি জরুরি তথ্য জেনে রাখুন এরা যারা এসবের সাথে যুক্ত ছিল তাদের একটি অংশ এখন এনসিপি,বাগছাসের সাথে যুক্ত হওয়ার পায়তারা করছে যদিও কক্সবাজারে এখনো অফিসিয়াল কোনো কমিটি হয়নি।

এখন আসি আমি কেন হঠাৎ এগুলো নিয়ে কথা বলছি? কারণ আমি এসবের বিরুদ্ধে সবসময় আপোষহীন ছিলাম ৫ই আগষ্ট পরবর্তী আজ পর্যন্ত আমি স্বচ্ছতা বজায় রেখেছি। আপনাদের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখছি, আমি চৌধুরী সিয়াম ইলাহী চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ছিলাম অর্থাৎ আসিফ ভাই,নাহিদ ভাইদের মতো জুলাইয়ে কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত তালিকাভুক্ত সমন্বয়ক ছিলাম। গণ-অভ্যুত্থানের পর আহ্বায়ক কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স.বে.বি এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এই কথাগুলো এজন্য বললাম এত সাংগঠনিক পরিচয় থাকার পর ও আমি এক পয়সাও কারো কাছ থেকে কখনো নেয়নি বরং সাংগঠনিক পদ ব্যবহার করে টেকনাফের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সহ অন্যান্য অনেক উপদেষ্টার কাছে আপনাদের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেছি যেগুলোর অনেকগুলোর সমাধান হয়েছে যা আপনারাই সাক্ষী। আমার সাংগঠনিক পদকে আমি জনমানুষের উপকারের স্বার্থে ব্যবহার করেছি। অন্যান্য সমন্বয়কদের মতো আমার কাছেও এসব নানান ধরনের অফার বহুবার এসেছে আমি নিজ জায়গা থেকে বরাবরের মতোই এসবের বিরোধিতা করেছি।

এর পরেও যখন এই কিছু চাঁদাবাজ ছাত্র প্রতিনিধিদের জন্য আমার কাছে দায় আসে তখন খুব বেশিই খারাপ লাগে, নিজে এই পুরোটা সময় সততা এবং নিষ্ঠার সাথে থাকার পর ও যখন শুনি এরা যা করছে তা অনেকে মনে করে আমার ইন্ধন কিংবা সুপারিশে করছে তখন আমার সত্যিই খুব অপরাধবোধ হয়। অতএব, আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ এদের পরবর্তীতে এরকম করতে দেখলে হাতেনাতে ধরে সোজা পুলিশে দিবেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার প্রভাব দেখালে সেই নেতাকে সহ জেলে পুরবেন।

অনেক হয়েছে আর না, সবাই দল মত নির্বিশেষে এদের ব্যাপারে সোচ্চার না হলে এরা টেকনাফ বন্দর, করিডোর, পৌরসভা সব জায়গা থেকে লুট করে খাবে।এদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি টেকনাফবাসীকে।